[ad_1]
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হলেও ঘটনার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরিবারের অভিযোগ, আসামি এলাকায় প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
ঘটনাটি ঘটে গত ২১ জুন সকালে উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের কাচনা মধুপুর গ্রামে। অভিযোগে জানা যায়, স্থানীয় ফাজেল হক (৪৭) ওই দিন সকালে বাবা-মা অনুপস্থিত থাকার সুযোগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে আম খাওয়ানোর প্রলোভনে পাটখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।
পরে মেয়েটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাকে টাকা দিয়ে চুপ করিয়ে দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং পালিয়ে যান। পরে মেয়েটি বাসায় ফিরে মাকে ঘটনা জানালে ২২ জুন বালিয়াডাঙ্গী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার টাকা নেই, রাজনীতি করি না, কোনো নেতার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, তাই কেউ আমার কথা শুনছে না। মেয়েটা হাবাগোবা, আর ফাজেল হক বয়সে আমার মতোই। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’ ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েটা সাদাসিধে, গায়ে-গতরে বড় হলেও মাথায় বুদ্ধি নেই। সেই সুযোগ নিয়েছে। গরিব বলে কি বিচার পাব না?’
প্রতিবেশীদের অনেকে জানান, ফাজেল হক এর আগেও একই ধরনের একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে সেই সংসার ভেঙে যায়। অন্য নারীদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় নানা কথা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, সাংবাদিকের আগমনের খবরে ফাজেল হকের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে স্ত্রীকে ডাকলেও তিনি সামনে আসেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে থাকায় নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]