শিরোনাম
নীলসাগর ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারা দেশে দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধভারতের অর্থনীতি মৃত—ট্রাম্পের এই বক্তব্য খারিজ করে দিল তাঁর দেশের সব এআইভারতের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে হিমাচল প্রদেশ—সুপ্রিম কোর্টের সতর্কবার্তাযুক্তরাষ্ট্রের তুলায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক ছাড় পাবে বাংলাদেশ: বিজিএমইএগুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা জানে আলম অপু রিমান্ডেমাদারীপুরে বালু তোলার ড্রেজার মেশিনে আগুন দিল উত্তেজিত জনতাকক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৫ময়মনসিংহে ধর্ষণ মামলায় ২ আসামি গ্রেপ্তারবাংলাদেশি মডেল শান্তা ভারতে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন কি না খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশসম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ভারতীয়, পাকিস্তানে এশিয়া কাপ দেখা নিয়ে শঙ্কা

২৫ বছরেও হয়নি সংস্কার, চলাচলে চরম ভোগান্তি

২৫ বছরেও হয়নি সংস্কার, চলাচলে চরম ভোগান্তি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর থেকে ভরাটের সড়কটির বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। প্রায় ২৫ বছর ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দেবীপুর ও ভরাট গ্রামের সাধারণ মানুষ ও চাষিরা।

বৃষ্টির মৌসুমে দুর্ভোগ আরও তীব্র হয়। কাদা ও গর্তে ভরা এই সড়কে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়ে। যাতায়াতে বিকল্প পথ না থাকায় অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, সড়কটি চালু হলে দুই গ্রামের মধ্যে সহজ যোগাযোগ স্থাপন হবে এবং কৃষিপণ্য পরিবহনও হবে সাশ্রয়ী ও ঝুঁকিমুক্ত।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একসময় এই সড়কই ছিল দুই গ্রামের প্রধান চলাচলের পথ। প্রায় ২৫ বছর আগে আংশিক হেয়ারিং বন্ড দেওয়া হলেও পরে কাজ আর এগোয়নি। কোথাও কোথাও ইটের চিহ্নও দেখা যায় না। বামন্দী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তাটি এমন অবস্থায় আছে যে মানুষ যানবাহন নিয়ে চলতে চায় না। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে সব সময়।’

স্থানীয় কৃষক মিরাজ আলী বলেন, ‘রাস্তাটি একেবারেই চলার মতো না। ফসল নিয়ে গাড়ি চলাচলের সময় সব সময় ভয়ে থাকি—না জানি কখন গাড়ি উল্টে যায়।’ অটোচালক শিহাব আলীর অভিযোগ, ‘রাস্তাটি এত খারাপ যে অটো, ভ্যান, মাইক্রো কোনো যানই চলতে পারে না। বাধ্য হয়ে অনেকটা ঘুরে যেতে হয়।’

ভ্যানচালক ইউসুফ আলী বলেন, ‘অনেক রাস্তায় কাজ হচ্ছে, কিন্তু এই রাস্তাটার দিকে কেউ তাকায় না। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না, তাই কেউ ভাড়াও দিতে চায় না।’ পথচারী ওবায়দুল হক জানান, ‘রাস্তায় এত বড় গর্ত যে হেঁটেও চলা যায় না ঠিকমতো। যানবাহনচালকেরা এ রাস্তায় যেতে চায় না।’

জানতে চাইলে তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ওহাব আলী বলেন, ‘মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করছে। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’ এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটির উন্নয়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button