[ad_1]
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নতুন সংশোধিত গঠনতন্ত্রের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ২৮ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি করা হয়েছে। সদস্য ও প্রার্থিতার বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর। গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন এই গঠনতন্ত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগেও চাকসুতে পদসংখ্যা ছিল ২৮। তবে, পূর্বে পদসংখ্যা ছিল ১৮টি, নির্বাহী সদস্য ছিলেন ১০ জন, যা এবার পাঁচজন কমিয়ে পদসংখ্যা করা হয়েছে ২৩ এবং পাঁচজনের নির্বাহী সদস্য পদ রাখা হয়েছে।
দুটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে নতুন সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়েছে। সেগুলো হলো—শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করা, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি সৃষ্টি ও বিকাশ করা এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে কাজ করা; বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা।
সময়োপযোগী নতুন ১২টি পদ
গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক; বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক; স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক; যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক; দপ্তর সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক (পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত); ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক (নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত)। এ ছাড়া পুরাতন ‘সমাজসেবা সম্পাদক’ ও ‘উপসমাজসেবা সম্পাদক’ পদ দুটি রূপান্তর করে—সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক; সহসমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।
সদস্য, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা
চাকসু ও হল সংসদের ভোটার বা প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এম.ফিল বা পিএইচডি.ডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত, বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থান বা হলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, দাপ্তরিকভাবে বার্ষিক সদস্যপদ ফি প্রদান করেছেন এবং বয়স তপশিল ঘোষণার দিন থেকে ৩০ বছরের অধিক নয়। এ ছাড়া সন্ধ্যাকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
কার্যনির্বাহী কমিটি
২৮ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি হবে। এতে ২৬ জন নির্বাচিত হবেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদাধিকার বলে সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে যেকোনো একজন উপ-উপাচার্যকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করতে পারবেন। উপ-উপাচার্য না থাকলে একজন অধ্যাপককে মনোনীত করতে পারবেন। সংসদের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনকে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করবেন।
নির্বাচন বিধি
সভাপতি নিজে অথবা তার নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন আয়োজন, তারিখ ও সময় নির্ধারণের দায়িত্ব সভাপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে; সভাপতি চাকসু নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করবেন।
এ বিষয়ে চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসুর গঠনতন্ত্র আমি এখনো হাতে পাইনি। রোববার এটি হাতে পেলে সভা ডেকে যত দ্রুত সম্ভব তফসিল ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বন্ধ থাকা চাকসু এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছে। এবার নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদনের মাধ্যমে চাকসু নির্বাচনেরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]