[ad_1]
একাধিক ভুয়া ভারতীয় পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগে কলকাতার বিক্রমগড় থেকে শান্তা পাল (২৮) নামের এক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তা পাল একজন বিমানকর্মী ছিলেন। এই পেশা ছেড়ে দিয়ে তিনি মডেলিং, অভিনয় ও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির কাজ শুরু করেন।
কলকাতা পুলিশ বলছে, শান্তা পাল একজন ফুড ভ্লগার হিসেবেও কাজ করতেন। গত জুন মাস পর্যন্ত তিনি তাঁর ভ্লগে বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আমরা জানতে চাই, বাংলাদেশি হয়েও তিনি কীভাবে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড পেলেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো থেকে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে।’
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তা পালের বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। তিনি বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় থাকতেন। তবে অবৈধ উপায়ে তিনি ভারতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিনি সম্ভবত বিদেশে যাওয়ার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজছিলেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা ভারতীয় আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পুলিশ স্থানীয় আধার কর্তৃপক্ষ, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
পুলিশ জানায়, শান্তা পালের যাদবপুরের ফ্ল্যাট থেকে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট, একটি বাংলাদেশি এয়ারলাইনসের আইডি কার্ড, ঢাকার একটি মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও কিছু ভুয়া ভারতীয় নথি পাওয়া যায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, শান্তা পাল কয়েক মাস আগে ঢাকা থেকে কলকাতায় এসে প্রথমে পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ভাড়া থাকতেন। পরে তিনি যাদবপুরের বিক্রমগড় এলাকার গল্ফ গ্রিন থানার অধীনে একটি তিনতলার ফ্ল্যাটে চলে যান। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তাঁর আধার কার্ডটি ২০২০ সালে বর্ধমানের একটি ঠিকানা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শান্তা পাল ‘মিস এশিয়া গ্লোবাল বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, তিনি ঠাকুরপুকুর থানায় প্রতারণার একটি অভিযোগও করেছিলেন। আরও একটি সূত্রের দাবি, তাঁর স্বামী অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। পুলিশ এই দম্পতির বিয়ের সম্পর্ক নিয়েও তদন্ত করছে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]