[ad_1]
১৫ বছর আগে একটি পরিসংখ্যান আমির খানকে খুব চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। ভারতে মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ দর্শক হলে গিয়ে সিনেমা দেখেন। বাদবাকি বিপুল সংখ্যক দর্শকের কাছে কীভাবে সিনেমা পৌঁছে দেওয়া যায়, সেটাই ছিল আমিরের প্রধান চিন্তা। ভাবতে ভাবতে তিনি একটি উপায় বের করে ফেলেছেন। আমির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহে চলার পর নিজের সিনেমা তিনি মুক্তি দেবেন ইউটিউবে।
এতে যে সব অঞ্চলে সিনেমা হল নেই, কিংবা যারা হলে যেতে অপারগ; তাদের কাছেও সিনেমা পৌঁছে যাবে। কারণ, ইউটিউব এখন প্রায় প্রত্যেকের ডিভাইসে থাকে। আমিরের তথ্যমতে, ভারতে প্রতিদিন প্রায় ৫৫ কোটি মানুষ ইউটিউবে ভিজিট করে। এরইমধ্যে ‘আমির খান টকিজ’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলেছেন তিনি। এ চ্যানেলের ট্যাগলাইন ‘জনতার থিয়েটার’।
আমিরের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’ বিশ্বজুড়ে ২৬৫ কোটি ৭১ লাখ রুপি আয় করেছে। প্রেক্ষাগৃহ পর্ব শেষ করে ওটিটির পথ না ধরে আমির খান সিনেমাটি মুক্তি দিয়েছেন ইউটিউবে। তবে বিনামূল্যে নয়, সিনেমাটি দেখতে ভারতে খরচ হবে ১০০ রুপি, আর বাংলাদেশে ১৫০ টাকা। এখন থেকে আমিরের সব সিনেমা এভাবেই মুক্তি পাবে। এর মাধ্যমে অভিনেতা বদলে দিতে চেয়েছেন সিনেমা মুক্তির প্রচলিত পদ্ধতি।
সিতারে জমিন পার ইউটিউবে মুক্তির ঘোষণা দেওয়ার জন্য বানানো হয়েছে একটি অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও। তাতে দুই ছেলে জুনায়েদ ও আজাদকে সঙ্গী করে নিজের ব্যর্থতা নিয়ে মজা করতে দেখা গেল আমির খানকে। ভিডিওটি তৈরি হয়েছে ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ সিনেমার বাবা-ছেলের দৃশ্যের অনুকরণে। এ সিনেমার পরিচালক রাজকুমার সন্তোষিকেও দেখা গেছে ভিডিওতে।
আন্দাজ আপনা আপনা সিনেমায় ছেলের চরিত্রে ছিলেন আমির। এ ভিডিওতে তিনি করেছেন বাবার চরিত্র, আর ছেলের চরিত্রে জুনায়েদ। বাড়িতে ঢুকেই আমির আবিষ্কার করেন, তাঁর রাঁধুনী মোবাইলে সিতারে জমিন পার দেখছে। তিনি বকাবকি শুরু করেন, ‘আমার সিনেমা আমার বাড়িতে বসেই তুই ডাউনলোড করে দেখছিস?’ রাঁধুনী জানায়, ডাউনলোড করে নয়, টাকা দিয়েই দেখছে। আর এ বুদ্ধি জুনায়েদের।
এরপর জুনায়েদের রুমে ঢুকে আমির দেখেন, সে একা একা কথা বলছে। বাবাকে দেখেই জুনায়েদ খুশি হয়ে যান। নানাভাবে বাবার প্রশংসা করতে থাকেন। আমির প্রথমে খুশি হন, পরে চিন্তিত হয়ে পড়েন। জুনায়েদ জিজ্ঞেস করেন, ‘পিতাজি, যখনই আমি খুশি হই, তখনই আপনি দুঃখী হয়ে যান কেন?’
উত্তরে আমির নিজেকেই ট্রোল করে বলতে থাকেন, ‘যতবার তুই খুশি হয়েছিস, ততবারই আমি বরবাদ হয়েছি। তুই বললি, পিতাজি, মাল্টিস্টারার সিনেমা বানাও। আমি থাগ অব হিন্দুস্তান বানালাম। এটার জন্য এখনও গালি খাচ্ছি। এরপর তুই বললি, পিতাজি, দুনিয়ার সেরা সিনেমার রিমেক বানাও। ফরেস্ট গাম্পকে আমি লাল সিং চাড্ডা বানালাম। ইজ্জত তো গেছে, টাকাও গেছে।’
এরপর হাসতে হাসতে জুনায়েদ জানান, তিনি ১০০ কোটির অফার ফিরিয়ে দিয়ে সিতারে জমিন পার সিনেমাটি ইউটিউবে রিলিজ করে দিয়েছেন। মাত্র ১০০ রুপিতে। শুনেই রেগে লাল আমির। গালি দিতে দিতে ছেলেকে মারতে থাকেন, ‘এটা তুই কী করলি? অপদার্থ! হাঁদারাম! নেপোকিড!’
চিৎকার শুনে আমিরের ছোট ছেলে আজাদ উঁকি মারে, তাঁদের দেখেই দরজা বন্ধ করে দেয়। দরজায় ভেসে ওঠে সিনেমা মুক্তির তারিখ—১ আগস্ট। প্রকাশের পর থেকেই অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিওটি আলোচনায়। নিজের সিনেমা মুক্তির জন্য চোখধাঁধানো প্রচারকৌশল নয়, কোনো বিতর্ক নয়; স্রেফ নিখাদ রসিকতায় দর্শকদের মুগ্ধ করলেন আমির খান।
দেখুন আমির-জুনায়েদের আলোচিত সেই ভিডিও:
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]