[ad_1]
জ গাজা পরিদর্শনে যাচ্ছেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। চলমান মানবিক সংকট ইস্যুতে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে তিনি গাজায় যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, এ সফরে গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখবেন। এবং বিতরণ প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করবেন।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উইটকফ ইসরায়েল থেকে গাজায় যাবেন। ইসরায়েল সফরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে উইটকফের একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেভিট। জানান, আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের বিষয়টি।
উইটকফ এমন এক সময়ে গাজা সফরে যাচ্ছেন, যখন অনাহারে মৃত্যু খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে উপত্যকায়। গতকালও অপুষ্টিতে ভুগে দুজন মারা গেছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ নিয়ে অনাহারে মৃত্যু হল ১৫৯ ফিলিস্তিনির, যাদের মধ্যে ৯০ জনই শিশু।
এ ছাড়া, ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত হওয়ার ঘটনা তো আরও সাধারণ হয়ে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ১১১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যার মধ্যে ৯১ জনই নিহত হয়েছেন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত সংগঠন জিএইচএফের ত্রাণ নিতে গিয়ে।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাজার একটি হাসপাতালের পরিচালক জানান, বুধবার উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিংয়ের কাছে ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায় ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক ফিলিস্তিনি। আল-শিফা হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা জিকিম এলাকায় নিহত ৫৪ জনের মৃতদেহ এবং ৪১২ জন আহতকে চিকিৎসা দিয়েছে।
গাজার হামাস-পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণবাহী ট্রাকের চারপাশে জড়ো হওয়া মানুষের ভিড়ের ওপর হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে। আর তাতেই এত হতাহত। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা কেবল ‘সতর্কতামূলক গুলি’ চালিয়েছিল এবং কোনো হতাহতের বিষয়ে তারা ‘অবগত’ নয়।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসের শেষের দিকে জিএইচএফের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে কমপক্ষে ১ হাজার ৩৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার, জাতিসংঘ সমর্থিত বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, বর্তমানে ‘দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে’ রয়েছে গাজার ২১ লাখ বাসিন্দা। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলেছে, গাজায় ‘ব্যাপক অনাহার’ চলছে, যা ইসরায়েলের সৃষ্ট। যদিও ইসরায়েল বরাবরই বলে আসছে যে, ত্রাণ বিতরণে তাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই এবং গাজায় কোনো ‘অনাহার-দুর্ভিক্ষ নেই।’
এদিকে, উইটকফের গাজা সফরের আগে ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘গাজায় মানবিক সংকট সমাধানের দ্রুততম উপায় হলো হামাসের আত্মসমর্পণ এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]