[ad_1]
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৬ বছরের কিশোর মো. আব্দুল কাইয়ুম আহাদ নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া জামিন নামঞ্জুর করেন।
খায়রুল হকের পক্ষে তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন আবেদন করেন। দুপুরের পর ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, এ বি এম খায়রুল হক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। হয়রানি করার জন্য গত ২৪ জুলাই এ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার ঘটনা গত বছরের ১৮ জুলাই। ঘটনার প্রায় এক বছর পর গত ৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়। এতদিন পর কেন মামলাটি দায়ের করেছেন, তার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। ঘটনার দিন তিনি তার কর্মস্থল আইন কমিশনের কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাস ভবনে ফিরে আসেন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনি গমন করেন নাই। তার বয়স ৮১ বছর, তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না।
আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
গত ২৪ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার কিশোর আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, ওইদিন সকাল আটটার পর খায়রুল হককে ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে ডিবির হেফাজতে রাখা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয় কিশোর মো. আব্দুল কাইয়ুম আহাদ (১৬)। ঐদিন সন্ধ্যা ৬টার সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কিশোর আহাদ মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে আসলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলির মুখে পড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আব্দুল কাইয়ুম আহাদ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন তাকে দুইটি গুলি করে। পরে স্থানীয়রা তাকে দনিয়ার সালমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ৬ জুলাই আহাদের বাবা নোয়াখালীর বেগম বাজার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা প্রায় ২০০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ বি এম খায়রুল হককে ৪৪ নম্বর আসামি করা হয়। গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা রায় জালিয়াতির একটি মামলায় খাইরুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় গত বুধবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে খায়রুল হককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]