[ad_1]
অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের করপোরেট গ্যারান্টেড সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের (Autumn Loop Apparels Limited) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার ওয়াসিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একটি দল রাজধানীর মধ্যবাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা (১ দিলকুশা, মতিঝিল, ঢাকা) থেকে অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের তিনটি এলসি/সেলস কন্ট্রাক্ট গ্রহণ করে। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানটি আমদানির নামে পণ্য রপ্তানি করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রপ্তানির চার মাসের মধ্যে রপ্তানিমূল্য দেশে ফেরত আনার আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা ফেরত আনেনি।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানিমূল্য দেশে ফেরত না এনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) অনুযায়ী অর্থ চারে লিপ্ত হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওয়াসিউর রহমান (৫০) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যতম শেয়ারহোল্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ও মামলার অন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিদেশি প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ঘটনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ (২)/৪ ধারায় ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা (নম্বর-১২) দায়ের করা হয়, যা বর্তমানে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে তদন্তাধীন রয়েছে।
সিআইডি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর ওয়াসিউর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি ও তাঁর সহযোগীরা বিদেশে কোনো অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো গ্রুপ) প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি আত্মীয়স্বজনদের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান খুলে বিদেশে অর্থ পাচারে সহায়তা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]