[ad_1]
রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয় মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালত পৃথক পৃথক আদেশে অভিযোগ গঠন করেন।
জানা গেছে, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল ইসলাম ৩টি মামলায় ও বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ৩টি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম ছয় মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কাজ শুরু হলো।
গত ২২ জুলাই মামলাগুলো বিচারের জন্য দুটি পৃথক আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন।
শেখ হাসিনাসহ অন্য ২৮ জনের অনুপস্থিতিতে তাদের বিচার কাজ শুরু হবে।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, রেহানার দুই মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হওয়ার বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ হয়। কিন্তু একজন আসামিও আদালতে হাজির হননি বিধায় তাদের পলাতক ঘোষণা করে বিচারকাজ চলবে বলে আদালত আদেশে বলেছেন।
এসব মামলায় অন্য যাঁরা আসামি তাঁরা হলেন—রাজউকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার; সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব মো. অলিউল্লাহ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াসি উদ্দিন, রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া, রাজউকের সদস্য মো. খুরশিদ আলম, তন্ময় দাস, মো. নাসির উদ্দিন, সাবেক সদস্য মেজর (অব.) শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, রাজউকের সাবেক সদস্য মো. মাজহারুল ইসলাম, কবির আল আসাদ, সহকারী পরিচালক ফারিয়া সুলতানা, নায়েব আলী শরীফ, উপপরিচালক কামরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম এবং মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিবের একান্ত সরকারি শহীদুল্লাহ খন্দকার এবং সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
এসব মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১৩ ও ১৫ এপ্রিল আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
নিজের এবং স্বজনদের নামে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। গত ১২,১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন দুদক এই মামলাগুলো দায়ের করে।
মামলার প্রত্যেকটিতে শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য মামলায় বিভিন্ন জনকে আসামি করা হয়। তবে রাজউক এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা প্রত্যেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে ছয় মামলার আসামি।
এর আগে গত ২৫ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন ছয় মামলায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ পত্রে ছয় মামলায় শেখ হাসিনা সহ ২৮ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
দুদক নথি অনুসারে, শেখ হাসিনা রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশ করে নিজের জন্য, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ রেহানার ছেলেমেয়েদের জন্য তথ্য গোপন করে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]