[ad_1]
তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কদিন আগে। এমনকি সেটা গড়িয়েছিল থানা পর্যায়েও। সিফাতুর রহমান সৌরভ নামে তাঁর (তাসকিন) এক বন্ধু এমনটা করেছিলেন। এবার সেই বন্ধুই তাসকিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন।
অভিযোগ তুলে নেওয়ার পর তাসকিনের বন্ধু সৌরভ গত রাতে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। সাংবাদিকদের সৌরভ বলেন, ‘অবশ্যই আমার ছোটবেলার বন্ধু। সামনে তার অনেক কিছু দেওয়ার আছে বাংলাদেশ দলকে। শুভকামনা জানাব অবশ্যই। ক্রিকেটার হিসেবে তাসকিন আহমেদকে আমি চিনি এখন। আমি এখন এই ব্যাপার নিয়ে একটু ট্রমাটাইজড। আমাকে একটু সময় দিতে হবে।’
তাসকিনের বিরুদ্ধে সোমবার মিরপুর মডেল থানায় মারধরের অভিযোগ করেছিলেন সৌরভ। এই ব্যাপারে সেদিন তাসকিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছিলেন, ‘তাদের সঙ্গে অনেক দিন ধরে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এখন তো (ওদের সঙ্গে) মিশি না আমরা। এখন ওদেরকে এড়িয়ে চলি। আমার সঙ্গে তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজগুলো হয়েছে। আমার পরিবারের মানহানি হয়েছে। তারা (বন্ধু) ভুল বুঝতে পেরে প্রত্যাহার তো করছেই।’ ঠিক তার দুই দিন পরই গত রাতে তাসকিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
অভিযোগ তুলে নেওয়ার পর তাসকিনের বন্ধু সৌরভের কাছে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্ন, কী এমন ঘটেছিল যাতে ব্যাপারটা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল? সৌরভ সরাসরি কোনো উত্তর না দিলেও আকার-ইঙ্গিতে তাসকিনকেই দোষারোপ করেছেন। তাসকিনের বন্ধু বলেন, ‘আসলে এখন দুই পরিবারের পারস্পরিক আলোচনায় সমাধান হয়ে গেছে। বন্ধুদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেখান থেকেই ঝামেলার শুরু। এর আগে আমি সরি বলিনি। অভিযোগও তুলে নিইনি। আজ আমরা পারিবারিকভাবে মিলে সমাধান করেছি।’ তাসকিনের আরেক বন্ধু ইশতিয়াক আহমেদ হৃদয় বলেন, ‘যদি আমার বা আমার বন্ধুর কোনো দোষ থাকত, তাহলে কিন্তু তার (তাসকিন) বাবা মুচলেকা দিতে আসতেন না। মুচলেকা দিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে।’
তাসকিনের সঙ্গে ঝামেলার ব্যাপারটা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা গেলে ভালো হতো বলে মনে করছেন সৌরভ। সাংবাদিকদের তাসকিনের বন্ধু বলেন, ‘অভিযোগ যেদিন করা হয়, তারপরে তাসকিনের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। তাসকিনের বাবা সম্পর্কে আমার নানা হয়। আমাদের পরিবার থেকেও বসা হয়। আজ (গত রাতে) সমাধান হয়েছে। সমাধান করা গেলে তখনই করা যেত। আসলে তখন পরিস্থিতি ছিল না।’
তাসকিন সোমবার যখন আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তখনো তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়নি। তখন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ব্যাপারটা যখন সমাধানের পথে, তাহলে কি পুরোনো বন্ধুত্ব জোড়া লাগবে কিনা। তাসকিন তখন বলেছিলেন, ‘এটা (পুনরায় বন্ধুত্ব) হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, আমার যে মানহানি হয়েছে, আমার পরিবার যে অস্বস্তিতে পড়েছে, তাতে তাদের সঙ্গে মেশার বা আগের মতো বন্ধুত্ব তৈরি করার মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে। আমার বাবার যে বক্তব্য মিডিয়াতে প্রচারিত হয়েছে, সেটা আসলে অসম্পূর্ণ ও খণ্ডিত। আমার বাবা আগে-পরে অনেক কথা বললেও সেগুলো প্রচারিত হয়নি। বিষয়টা কী, তিনি সেটা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি (তাসকিনের বাবা) হয়তো মনে করেছেন, বিষয়টা সত্যিই হয়েছে। সেগুলোই প্রচার করা হয়েছে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]