[ad_1]
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার উত্তর বিশ্বনাথপুর এলাকায় খাঁড়া নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু যেন এখন মৃত্যুফাঁদ। বিরিশিরি ও গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে এই সেতু। সেতুটির অবস্থা এতটাই নাজুক যে, ওপরে কাঠের জোড়াতালি আর নিচে বাঁশের ঠেকা দিয়ে সাময়িকভাবে টিকিয়ে রাখা হয়েছে পাঁচ বছর ধরে।
স্থানীয়রা বলেন, সকাল-সন্ধ্যা এই পথে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিশু ও বৃদ্ধরাও যাতায়াত করে। অথচ প্রতিটি পা ফেলার সঙ্গে থাকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। পাঁচ বছর ধরে ভরসা এক জোড়াতালির কাঠ-বাঁশ—এটা আর চলতে পারে না। অবিলম্বে নতুন সেতু নির্মাণ করে দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা হোক।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে নির্মিত এই সেতু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমানে পাকা কাঠামোর নিচে বাঁশ দিয়ে ধরে রাখা হয়েছে। এর ওপর চলাচল করা হলেও যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিটি নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা এসে সেতু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু নির্বাচন শেষে কেউ আর ফিরে তাকান না।
স্থানীয় বাসিন্দা জুলহাস মিয়া বলেন, ‘সেতুটি অনেক বছর ধরে এমনই আছে, আমরা প্রতিনিয়ত ভয়ে ভয়ে পার হই। কখন যে ভেঙে পড়ে সেই চিন্তা থাকে সারাক্ষণ। তা ছাড়া সেতুটি ভেঙে পড়লে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই দ্রুত একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
শিক্ষার্থী রিদয় মিয়া বলে, ‘মাদ্রাসায় যেতে খুব ভয় লাগে, কখনো বাবা কখনো শিক্ষকদের হাত ধরে পার হই এই সেতু।’
অটোচালক সুজন মিয়া বলেন, ‘এপার-ওপারের ধানসহ জিনিসপত্র আনা যায় না। কখনো অসুস্থ হলেও এই সেতুর জন্য কষ্টে পড়তে হয়। শুধু সেতু নয়, এই সড়কের তিন কিলোমিটার মাটির রাস্তাটাও খুব খারাপ। বৃষ্টিতে কাদা, রোদে ধুলা। দুর্ঘটনাও হয় প্রায়ই।’
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, সেতুর সংযোগ সড়কটি ইতিমধ্যে তালিকাভুক্তির প্রস্তাবনায় রয়েছে। পরবর্তী ধাপে সেতুটির জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]