[ad_1]
পাকা রাস্তার পাশে পুরোনো চেক লুঙ্গি ও মিষ্টি রঙের একটি পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে বসে আছেন ইসহাক আলী। বয়স প্রায় ১০০। পাশে রাখা ২৫০ গ্রাম ওজনের ২৫-৩০টি গুঁড়া হলুদের প্যাকেট। সাপ্তাহিক সোমবারের হাটে এসেছেন বিক্রি করতে। বয়সের ভারে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও কষ্ট হয়। তবু সংসার টানতে এভাবেই রাস্তায় বসে থাকেন।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চরকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ইসহাক আলী। তাঁর বাবা মৃত বাবর আকন্দ। স্বাধীনতার আগেই হলুদের ব্যবসা শুরু করেছিলেন এই বৃদ্ধ। একসময় ভারত থেকে এক টাকা মণ দরে হলুদ এনে দেশের হাটে হাটে খুচরা বিক্রি করতেন। এখন বয়সের কারণে শুধু নিজের এলাকায় বসে বিক্রি করেন কয়েকটি প্যাকেট।
সম্প্রতি কামারখন্দ উপজেলার বড়ধুল হাটে দেখা হয় তাঁর সঙ্গে। চোখেমুখে ক্লান্তি, কথা বলেন ধীরে ধীরে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বললেন, ‘জন্মের পর থেইকাই কষ্ট করতেছি, সুখ-শান্তি কিছুই পাই নাই। শরীর ভালো না, সব সময় অসুখ লেগেই থাকে।’
তাঁর পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনজন অনেক আগেই মারা গেছেন। বেঁচে আছেন এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে খোঁজ নিলেও ছেলে ওইভাবে খোঁজ নেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। স্ত্রীও চলাফেরা করতে পারেন না। ইসহাক আলী বয়স্ক ভাতা পান, তবে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো কার্ড হয়নি। এ নিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, ‘বউর তো চলার মতো শরীর নাই। তা-ও কোনো ভাতা পায় না।’
স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল হোসেন বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৪৮ বছর। ওনাকে আমি জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখি এই সোমবারের হাটে এসে হলুদ বিক্রি করেন। কেনাবেচা খুব ভালো তা-ও না। হয়তো ২০০-২৫০ টাকার হলুদ বিক্রি করতে পারেন। তবে সরকারিভাবে তাঁদের সুবিধা দেওয়া দরকার। তাঁরা আসলেই অসহায়।’
কামারখন্দ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোতালিব আজকের পত্রিকাকে মুঠোফোনে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখব। আর আমাদের জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব ওই বৃদ্ধর পরিবারকে সাহায্য করব।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]