[ad_1]
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৭১ ফিলিস্তিনি, যাদের ৫১ জনই নিহত। খাদ্যাভাবে অপুষ্টিতে ভুগে নিহত হয়েছেন আরও ৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বুধবার উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং পয়েন্টে ত্রাণবাহী ট্রাকের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ ফিলিস্তিনিদের দিকে গুলি করতে শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। মুহূর্তে নিহত হন ৫১ ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় আহত হন আরও প্রায় সাড়ে ছয় শ মানুষ। একই দিন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে ‘মোরাগ করিডোর’ এলাকায় ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আরও ২০ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান দুর্ভিক্ষের কারণে এখন পর্যন্ত ১৫৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছে, যার প্রায় অর্ধেকই শিশু। খাবারের অভাবে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহেই। মানবাধিকার সংগঠন ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর জানিয়েছে, শরণার্থী শিবিরগুলোতে ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে দুর্ভিক্ষ। শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধদের অবস্থাও খুব করুণ। অপুষ্টি ও চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছেন তারা।
জাতিসংঘ বলছে, গাজার মানুষদের ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন। অথচ গত চার দিনে গাজায় ঢুকেছে মাত্র ২৬৯টি ট্রাক। এক আন্তর্জাতিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা মঙ্গলবার সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় দ্রুতই পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসহায় মানুষের মৃত্যুহার যেভাবে বাড়ছে, তা আন্তর্জাতিক মানবিক মূল্যবোধের জন্য এক ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ।
গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন তীব্রতর হচ্ছে খাদ্যসংকট, নিরাপত্তাহীনতা ও সহিংসতা। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত ও সুসংহত পদক্ষেপ ছাড়া এই দুর্দশার অবসান অসম্ভব।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]