[ad_1]
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতে ব্যাপক বেড়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সুপারি আমদানি। অন্যদিকে, ঐতিহ্যগত রপ্তানিকারক দেশ শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিতে বড় ধস নেমেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেস লাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সোমবার লোকসভায় সরকারি উপাত্ত তুলে ধরে এই তথ্য জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী যতীন প্রসাদ।
সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতের সুপারি আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এ এই পরিমাণ ছিল মাত্র ১৩ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় চার গুণ। এর ফলে, ভারতের মোট সুপারি আমদানিতে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৩৭ শতাংশে।
মিয়ানমার থেকেও ভারতের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য উত্থান ঘটেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত মিয়ানমার থেকে ১৫ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলারের সুপারি আমদানি করেছে। ২০২৪-২৫ সালে বেড়ে হয়েছে তা হয়েছে ৩৩ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার।
এদিকে, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিতে উল্টো প্রবণতা দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কা থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৯ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ডলারের সুপারি আমদানি করেছে ভারত, যা ২০২৪-২৫ সালে নেমে এসেছে ৩৫ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলারে। ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। দেশটি থেকে ২০২৩-২৪ সালে ভারতের আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৩ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪-২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলারে।
সাম্প্রতিক বছরের সামগ্রিক আমদানি পরিসংখ্যানেও রয়েছে অস্থিরতা। ২০২১-২২ অর্থবছরে যেখানে ভারতের সুপারি আমদানি ছিল ৯০ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার, ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৮ দশমিক ১৯ মিলিয়নে। এরপর ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমে যথাক্রমে ১৪৭ দশমিক ৯৯ ও ১৪৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]