[ad_1]
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, চাঁদাবাজদের ধরেছেন ভালো কথা ৷ ২ হাজার কোটি টাকা চাঁদা নেওয়া চাঁদাবাজদের খবর আপনাদের কাছে আছে, তাদের নাম প্রকাশ করুন অতিসত্বর। গত ১১ মাসে কে কি করেছে তা প্রকাশ করুন।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় ফারুক এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গ্রামগঞ্জ, চা দোকান, মহল্লায় এখন একটি প্রশ্ন—আপনারা তো কারও পক্ষের লোক না তাহলে কেন এখনো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না? শাহাবুদ্দিন আহমেদ মাত্র তিন মাসের মাথায় এরশাদের ১০ বছরের দমন-নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ ১১ মাসেও নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছি। আমাদের নেতা শহীদ জিয়া দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। আমাদের নেত্রী এরশাদের বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। স্বাধীনতার ঘোষকের সন্তান ১৬টি বছর দেশের বাইরে থেকে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন। এই আমাদের তরুণ প্রজন্মের নেতাদের দিয়ে আন্দোলন সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে আপনাদের সহায়তা করে হাসিনাকে বিদায় করেছে। সেই বিদায়ের ফল কি আজকে ১১ মাসে আমরা পেয়েছি?’
ফারুক বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বন্ধুরা, আপনারা কোনো এক সময় আমাদের বন্ধুও ছিলেন। অবহেলা করি না, করতেও চাই না। কিন্তু মনে দুঃখ হয়, যখন দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সে লড়াইও আপনারা এক সময় আমাদের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু ঠিক যেই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথাবার্তায়, তাঁর আন্দোলন সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ একটি নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য প্রস্তুত, ঠিক সেই মুহূর্তে কিছু রাজনৈতিক দল নানা অজুহাত দিচ্ছে। কখনো বলছে পিআর, কখনো বলছে সংবিধান সংশোধন না হলে নির্বাচনে যাবে না। এসব অজুহাত জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।’
বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, ‘বিএনপি কোনো অন্যায়ের পক্ষপাতী নয়। আমাদের কর্মীরা যদি ভুল করে, তারেক রহমান নিজে ব্যবস্থা নিয়েছেন, বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন। এরপরও আমাদের বদনাম দেওয়া হচ্ছে। অথচ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস করেছে আওয়ামী যুবলীগ।’
সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘গ্যাস, নিত্যপণ্যের দাম কমান, চাঁদাবাজদের ধরুন, আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখুন। দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করুন। দেশে আর অস্থিতিশীলতা বাড়াবেন না।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম ইসলাম বাদল তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, লায়ন সোলায়মান তালুকদার, রফিকুল ইসলাম-সহ প্রমুখ।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]