ঝালকাঠিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু


ঝালকাঠিতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ঈশিতা (২৭) মারা গেছেন। তিনি শহরের টিনপট্টি এলাকার বাসিন্দা সজল কুমার বর্ধনের স্ত্রী ও ৮ মাসের গর্ভবতী ছিলেন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৬ জুলাই ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে ঈশিতাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে গাইনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তবে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রোগীর স্বজনেরা ‘স্বেচ্ছা ছাড়পত্রে’ সই করে তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান এবং শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অবস্থিত সিটি ক্লিনিকে ভর্তি করান।
ঈশিতার স্বজনদের অভিযোগ, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ান অপারেশনের আশ্বাস দিলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হলে তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে বরিশালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই ঈশিতা মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে সিটি ক্লিনিকের শেয়ারহোল্ডার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘রাতেই স্বজনেরা সিজার করাতে চান বলে জানান। আমরা বলি, কোনো সমস্যা নেই, নিয়ে আসুন। পরে সকালে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠাতে বলি।’
অপর শেয়ারহোল্ডার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতেই রোগী ভর্তি হন। সকালে পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত বরিশালে নিয়ে যেতে বলা হয়। এখানে আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি জেলার সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক হুমায়ূন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৬ জুলাই রোগীটি ভর্তি হওয়ার পর গাইনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রোগীর স্বজনেরা ভর্তি কাগজে স্বাক্ষর করে স্বেচ্ছায় রোগী নিয়ে যান। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালে কোনো অবহেলা বা গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না।’