[ad_1]
সাকিব-মাশরাফিদের সৌজন্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট হামাগুড়ি থেকে উঠে দাঁড়াতে শিখেছে। শিখেছে দৌড়াতে । ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন ভিন্ন উচ্চতায়। তাঁদের সবার ক্যারিয়ার প্রায় শেষ। মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে। মুশফিকুর রহিম খেলছেন শুধু টেস্ট। সাকিব আল হাসান জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন গত সেপ্টেম্বরে। টি-টোয়েন্টি ও টেস্টকে অবশ্য বিদায় বলেছেন তিনি। বিদায় বলেননি শুধু ওয়ানডেতে। লাল-সবুজের জার্সিতে আবার খেলতে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে বেশ অনিশ্চয়তা।
সাকিব-তামিমরা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো কোনো জায়গা দখল করে নিয়েছেন ব্যক্তিগত অর্জনে। তাঁদের ভালো-মন্দ সব সময়ের সঙ্গী ছিলেন কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন। সময়ের সঙ্গে ক্রিকেটের ধরনেও হচ্ছে পরিবর্তন। দেড় যুগের আগের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের পার্থক্যও স্পষ্ট। বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহ উদ্দিন জানালেন, সাকিব-তামিমদের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মৌলিক পার্থক্য কী।
আজকের পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজ সালাহ উদ্দীন বলেন, ‘পার্থক্য খুব বেশি না। তাদের সময়ে দলের চাহিদা কম ছিল। টেস্টে আমরা কখনো চিন্তা করতাম, যেন আড়াই দিনে যায়। আড়াই দিনে গেলে বেঁচে যাই! ওয়ানডেতে ২০০৮ সালের দিকে ২০০-২২০ করলে আমরা খুশি হয়ে যেতাম। জেমি (সিডন্স) মাঝে মাঝে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলত, সালাহ উদ্দিন আজ আমরা ২২০ করেছি। তখন চাওয়া-পাওয়া অন্যরকম ছিল। এখন দলটা একটা ভালো পর্যায়ে গেছে। এখন জয়ের প্রত্যাশা বেশি। ছেলেদের এই মানসিকতা আছে, জয়ের ক্ষুধা আছে। এই পরিবর্তন যুগের সঙ্গে সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে।’
এক বছর হলো দেশে ফেরা হয়নি সাকিবের। তবে দলে তাঁর আবেদন এখনো আগের মতোই আছে। বিভিন্ন সময় টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবকে অনুভবের কথা বলেন। সাকিবের সঙ্গে দলের সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহ উদ্দীনের সবশেষ কথা হয়েছে জুলাইয়ের শ্রীলঙ্কা সফরে। তাঁর সঙ্গে কী কথা হয়েছিল ক্রিকেট নিয়ে? সিনিয়র সহকারী কোচ বললেন, ‘সাকিব আমাকে নিয়ে একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। জিজ্ঞেস করল, আপনি টেনশনে পড়ে গেছেন কি না? সে আমাকে ভালোভাবে চেনে। একটা ডায়ালগ দিয়েছিলাম ওকে, দেখ, জীবনে মাইনাস ৫০০ টাকা নিয়ে সংসার শুরু করেছিলাম। তুই আমাকে টেনশন দিয়ে আমাকে কাবু করবি, আমি ওই মানুষ না। তখন বলে, রাখি! রাখি!’
ওয়ানডে থেকে বিদায় না নিলেও সাকিবকে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেখা নিয়ে, বেশ অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে, নিভৃতেই শেষ হচ্ছে? সালাহ উদ্দীন বললেন, ‘এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বোর্ডও কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। এটা সরকারির নীতি, তাদের ওপর নির্ভর করে। বোর্ডেরও কিছু করার নেই। যখন সরকার মনে করবে তখনই সে আসতে পারবে। না হলে আসলে...তাকে ক্রিকেট খেলতে দেশে আসতে হবে। এটা নিয়ে আমাদের খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। হয়তো সেভাবে সে মেনে নেবে। বা কখনো যদি সে ফিরে আসতে পারে, সবাই চাই আসুক। এটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’
আগামীকাল কোচ সালাহ উদ্দীনের পুরো সাক্ষাৎকার পড়ুন আজকের পত্রিকা প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]