[ad_1]
অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তার উম্ম আল-খাইর গ্রামে এক ইসরায়েলি দখলদারের গুলিতে নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি শিক্ষক ও সমাজকর্মী ওদে মুহাম্মদ হাদালিন। গতকাল সোমবার, স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গ্রামটির কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।
চলিশোর্ধ্ব ওদে মুহাম্মদ হাদালিন মাসাফের ইয়াত্তার অধিবাসীদের ওপর ইসরায়েলি সেনা ও দখলদারদের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। চলতি বছর অস্কারজয়ী প্রামাণ্যচিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’-এর নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ইসরায়েলি প্রশাসন ও দখলদারেরা বছরের পর বছর ধরে কীভাবে মাসাফের ইয়াত্তার ফিলিস্তিনিদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে তা-ই তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।
হাদালিনের সহকর্মী ও নো আদার ল্যান্ডের ফিলিস্তিনি নির্মাতা বাসেল আদরা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু ওদেকে আজ সন্ধ্যায় হত্যা করা হয়েছে। গ্রামের কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ একজন দখলদার তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিটি তাঁর বুকে বিদ্ধ হয় এবং তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এভাবেই এক এক করে মুছে ফেলা হচ্ছে আমাদের।’
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রটির আরেক নির্মাতা, ইসরায়েলি সাংবাদিক ইউভাল আব্রাহাম। তার পোস্ট অনুযায়ী, যে ব্যক্তি হাদালিনকে হত্যা করেছে তার নাম ইনোন লেভি। তার উগ্র ও কট্টর আচরণের জন্য এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। পোস্টের ক্যাপশনে আব্রাহাম লিখেছেন, ‘ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হাদালিনের ওপর উন্মাদের মতো গুলি ছোঁড়া হচ্ছে।’
ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। একইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে চারজন ফিলিস্তিনি ও দুই বিদেশি নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।
তবে পুলিশ হাদালিনের নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও তাঁর ‘ঘটনায় সম্পৃক্ততা যাচাই চলছে’ বলে মন্তব্য করে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ওই হামলায় আরও একজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হেবরনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একাধিক ফিলিস্তিনি গ্রামের সমষ্টি মাসাফের ইয়াত্তার বাসিন্দা ছিলেন হাদালিন। ১৯৮০-এর দশক থেকে এই অঞ্চলকে সামরিক ‘ফায়ারিং জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ফলে সেখানকার গ্রামবাসীদের প্রতিনিয়ত উচ্ছেদ, দখল ও ধ্বংসের হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এই হত্যাকাণ্ড এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পশ্চীম তীর ও গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘সম্প্রতি পশ্চিম তীরে প্রতিদিনই দখলদারদের হামলার ঘটনা বেড়েছে। তারা সশস্ত্র, সামরিক পোশাকে এবং সরকারি সহায়তায় এসব হামলা চালাচ্ছে তারা।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]