[ad_1]
সব পর্যায়ের শিক্ষকের প্রধান কাজ শ্রেণিকক্ষে সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে পাঠদান। শিক্ষকেরা গবেষণা এবং শিক্ষা-সংক্রান্ত কাজেই নিয়োজিত থাকবেন। তাঁর চিন্তা-জ্ঞান-ধ্যান-ধারণা শিক্ষার্থীর মান উন্নয়নে ব্যয় হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, শিক্ষকদের পাঠদানবহির্ভূত বহুমুখী কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। এসব কাজে শিক্ষকেরা প্রচুর সময় ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায় প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে। এর প্রভাব পড়ছে শ্রেণিকক্ষের পাঠদানে। ফলে বাড়ছে শিখন ঘাটতি।
পাঠদানবহির্ভূত কাজে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের মোট কর্মদিবসের বড় অংশ চলে চায়।
এতে শিক্ষার জন্য যে সময় দেওয়া দরকার, তাতে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ে যথেষ্ট শিক্ষক না থাকার সমস্যাও রয়েছে। আমরা পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষকদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, স্কুল ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণসহ বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছি।
পাঠদানবহির্ভূত কাজে শিক্ষকদের যুক্ত করা একটি বড় সমস্যা। অনেক সময় শোনা যায়, প্রধান শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ের কাজের চেয়ে সরকারি কাজে বেশি যুক্ত থাকেন, এই সমস্যা স্বীকৃত। কেন পাঠদানবহির্ভূত কাজে শিক্ষকদের যুক্ত করা হচ্ছে? কেন বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, এসব সমস্যার যথোপযুক্ত কারণ চিহ্নিত করে, তা দূর করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। সে জন্য যদি নিয়মনীতির কিছু পরিবর্তন করতে হয়, তা-ও অতিদ্রুত করা উচিত। অবিলম্বে প্রাথমিক শিক্ষকদের পাঠদানবহির্ভূত কাজ বন্ধ করা উচিত।
* ড. মনজুর আহমদ, আহ্বায়ক, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]