[ad_1]
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধানে ক্ষমতার কোনো ভারসাম্য নেই। সব ক্ষমতা কেবল একজন ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত। যে-ই প্রধানমন্ত্রী হোক, পুরো রাষ্ট্র তাঁর পকেটে। এ রকম ক্ষমতা আছে বলেই তারা আমাদের ওপর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পেরেছে।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কেউ যদি আমাদের দেশের নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিতে চায়, তার পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে, দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।’
আজ সোমবার বিকেলে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে জুলাই পদযাত্রা ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিচার শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত শহীদের তালিকাটাই ঠিক হয়নি। শহীদ পরিবার হাহাকার করছে, তাদের দায়িত্ব রাষ্ট্র ঠিকমতো নিতে পারেনি। শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ঠিকমতো দিতে পারেনি, অথচ ৫ আগস্ট এসে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, আপনার সরকার এক বছরের মধ্যে শহীদের তালিকা তৈরি করতে পারল না, তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে এবং পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারল না, আহত ব্যক্তিরা এখনো চিকিৎসার জন্য ক্ষোভ ঝাড়ে, তাদের পরিবার কীভাবে চলবে সে দায়িত্ব আপনারা নিতে পারলেন না। কাজের তালিকায় আগে অগ্রাধিকার ঠিক করুন। অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন, অভ্যুত্থান যা চায়, সেটা দিতে হবে এবং সে কাজই সম্পন্ন করা আপনাদের দায়িত্ব। আজীবন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না। প্রতিটি শহীদ পরিবার যাতে এ সন্তুষ্টিতে থাকে যে, অন্তত বিচার শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ান।
গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলার সভাপতি মুনীর চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পরিষদের সদস্য মো. অলিয়ার রহমান শেখ, জেএসডির খুলনা মহানগরের সভাপতি খান লোকমান হাকিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদ খুলনা মহানগরের সভাপতি শেখ আবদুল হালিম, গণসংহতি আন্দোলন অভয়নগর উপজেলার সদস্যসচিব সামস সারফিন সামন, খালিশপুর দৌলতপুর জুট মিল যৌথ কারখানা কমিটির নেতা মনির হোসেন মনি, প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিকনেতা নূরুল ইসলাম, দৌলতপুর জুট মিল কারখানা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ, হার্ডবোর্ড মিলের শ্রমিকনেতা মো. জহিরুল ইসলাম জব্বার প্রমুখ।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]