[ad_1]
ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরি উপকূলসংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ছোট উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। তারা নিহত হয়েছেন কি না সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও ধারণা করা হচ্ছে তারা আর বেঁচে নেই।
বার্তা সংস্থা এপির তথ্যমতে, গত শনিবার রাতে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। রোববার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ওই তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মার্কিন কোস্ট গার্ডের বরাত দিয়ে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১১ মিনিটে সান কার্লোস বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে বিচ৯৫-বি৫৫ ব্যারন মডেলের দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট ছোট উড়োজাহাজটি। সেটিতে চালকসহ তিন আরোহী ছিলেন। রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে মন্টেরি উপকূলের কাছে এসে কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটি।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এর ইঞ্জিনের শব্দে জরুরি হটলাইন নম্বরে কল করে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, পরদিন সকালে সৈকতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ ভেসে আসতে দেখেন তারা। তবে, খবর পেয়ে রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালাতে শুরু করে কোস্ট গার্ড ও স্থানীয় উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
গতকাল রোববার, ভোর ৩টার দিকে উদ্ধারকারী দল প্রথম একজনকে পানিতে ভেসে থাকতে দেখে। এরপর সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে সাগরের নিচে বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর থেকে বাকি দুজনকে উদ্ধার করে ডুবুরিরা। কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রায়ান গ্রেভস এক ইমেইল বিবৃতিতে জানান, ‘উদ্ধারকৃত তিনজনকেই অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। “অচেতন” শব্দটি দিয়ে এখানে বোঝানো হচ্ছে, তাদের দেহে প্রাণের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তারা মৃত্যুবরণ করেছেন কি না—সংশ্লিষ্ট দপ্তর সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।’
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটঅয়্যারের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটির শেষ সংকেত পাওয়া গিয়েছিল মন্টেরি উপকূলের কাছাকাছি। এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড। এখনো পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]