[ad_1]
বিগত সরকারের সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীরা যেভাবে নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়েছেন সেসব বিষয় গণমাধ্যমে সেভাবে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
সকাল ১১টায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ স্মরণে গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। রাজধানীর ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে চাইলে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষক, শ্রমিক তারাই এই দেশের আসল মালিক।’
তরুণ সমাজকে দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুরো জাতি আজ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের হাত ধরেই সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ টেলিভিশনে, পত্রপত্রিকায় বারবার করে ডিবি অফিসের ছবি দেখানো হয়। আমাদের নেতা-কর্মীরা যাদের রগ তুলে নেওয়া হয়েছিল, হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, ঝুলিয়ে-পিটিয়ে মারা হয়েছিল, এমনকি আমাদের জুনিয়র লিডার টুকু সাহেবকে পর্যন্ত সেদিন ছাড় দেওয়া হয়নি। কই, আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা তো তাদের ছবি ছাপে না। আমি অনুরোধ করব, প্লিজ, কালোকে কালো বলবেন, সাদাকে সাদা বলবেন। এবং যার যে অবদান আছে, সেটাকে স্বীকার করবেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে একটা পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠানো হয়েছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে কেউ এখন কথা বলে না। দেশে গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছেন। তাঁকে নিয়ে কথা বলার আহ্বান করেন মির্জা ফখরুল।
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘সব বিষয়ে পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে আলোচনাও হয়; কিন্তু দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্যাতিত একজন নারী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেন নীরবতা। সাংবাদিক ভাইয়েরা কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলতে শিখুন।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই মাসে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী গুম, খুন ও গ্রেপ্তার হয়েছেন। ডিবি অফিসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গত ১৫ বছরে আমাদের দলের নেতা–কর্মীরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। অথচ এই ফ্যাসিস্টের পলায়নের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তার ও তার সহযোগীদের বিচারের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সঞ্চালনায় ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন। উপস্থিত ছিলেন যুবদল ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]