[ad_1]
মানব জাতিকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে দিয়েছেন। কাউকে করেছেন শাসক আবার কাউকে করেছেন শাসিত। পৃথিবীর সুন্দর পরিচালনার জন্য এমন স্তর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে শাসকদের ইনসাফভিত্তিক কার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
শাসনক্ষমতা আল্লাহর নেয়ামত
এই শাসনক্ষমতা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে দেওয়া অপার নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন, আবার যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘বলুন—হে আল্লাহ, আপনি মালিক সমস্ত রাজ্যের। আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব কেড়ে নেন। আপনি যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। আপনার হাতেই রয়েছে সব কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
ন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব
ন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ আদেশ দেন ন্যায়বিচার, সদাচরণ এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের; এবং তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসংগত কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসকের পুরস্কার
আখেরাতে ন্যায়পরায়ণ শাসককে মহা পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। কেয়ামতের দিন যখন মানুষ উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে তখন আল্লাহ তাআলা ন্যায়পরায়ণ শাসকদের আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। (সহিহ্ বুখারি: ১৪২৩)
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]