[ad_1]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বল প্রয়োগ করে টোকিও ও বার্লিন দখল করেছিল, ইসরায়েলের গাজায় তাই করা উচিত। ইসরায়েলের ‘কৌশলে পরিবর্তন আনা উচিত।’ মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
সিনেটর গ্রাহাম গতকাল রোববার বলেন, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল তার সামরিক কৌশলে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা আজ যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলছি, তা হলো কৌশলের পরিবর্তন।’
গ্রাহাম এ মন্তব্য করলেন এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, হামাস নেতাদের এখন থেকে ‘শিকার করা হবে।’ গত শুক্রবার স্কটল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘হামাস আসলে সমঝোতা করতে চায়নি। মনে হচ্ছে তারা মরতে চায়...এমন একপর্যায়ে চলে গেছে, যেখানে আপনাকে কাজ শেষ করতেই হবে।’
সিনেটর গ্রাহাম মনে করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন বিশ্বাস করেন, হামাসের সঙ্গে আলোচনা করে যুদ্ধের ইতি টানা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে চায়। তারা ধর্মীয় নাৎসি।’
গ্রাহাম আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, ইসরায়েল এখন বুঝে গেছে—হামাসকে দিয়ে যুদ্ধের গ্রহণযোগ্য সমাপ্তি সম্ভব নয়। তাই তারা টোকিও আর বার্লিনে আমরা যেমনটা করেছিলাম, তেমন করেই গাজা দখল করে আবার নতুনভাবে শুরু করতে চায়। লক্ষ্য হলো, ফিলিস্তিনিদের জন্য ভালো ভবিষ্যৎ তৈরি করা, আরব দেশগুলো যেন পশ্চিম তীর ও গাজা শাসনের দায়িত্ব নেয়।’
তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘আমার ধারণা, সামনে আমরা গাজায় সম্পূর্ণ সামরিক অভিযান দেখতে যাচ্ছি—ঠিক যেমনটা আমরা করেছিলাম টোকিও ও বার্লিনে।’
এদিকে, গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, হামাসের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, তারা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আগ্রহী নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল এখন ওয়াশিংটনে ফিরে যাচ্ছে পরামর্শের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন বিকল্প পথ খুঁজব, যাতে জিম্মিদের মুক্ত করা যায় এবং গাজার মানুষের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়।’ তবে এসব ‘বিকল্প কৌশল’ কী হতে পারে, তা স্পষ্ট নয়।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]