[ad_1]
গত ২৪ ঘণ্টায় না খেতে পেয়ে গাজা উপত্যকায় আরও ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে দুই শিশুও। আজ রোববার, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ছয় ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু। অপুষ্টিজনিত কারণে চরমভাবে দুর্বল হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তারা।’
৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ নিয়ে গাজা উপত্যকায় অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩৩ জন, যাদের মধ্যে ৮৭ জনই শিশু। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ‘ত্রাণ প্রবাহে ইসরায়েলি বাধা কীভাবে গাজায় মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে তারই প্রমাণ এই মৃত্যুগুলো।’
উল্লেখ্য, টানা ১৮ বছর ধরে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। তবে চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে স্মরণকালের সবচেয়ে কঠোর অবরোধ চলছে উপত্যকাটিতে। উপত্যকার সব সীমান্ত ক্রসিং একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না।
আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনার মুখে গত মে মাসে সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরায়েল। তবে, ইউএনআরডব্লিউএর মতো অভিজ্ঞ সংস্থাগুলোকে বাদ দিয়ে ‘গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামে নতুন এক মানবিক সংগঠনকে ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত এই সংগঠনকে ঘিরে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক রয়েছে। প্রতিদিনই এই সংগঠনের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী ও মার্কিন ঠিকাদারদের গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু ফিলিস্তিনি।
এ ছাড়া, উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়মিত হামলা তো চলছেই। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৭০০- এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। লাগাতার বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছে গাজার জনপদ, ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]