[ad_1]
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এসএসসি পাস মেধাবী এক কিশোরীকে চার বছর ধরে ঘরে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে তার বাবা এনামুল হক ও সৎমা ফুতি বেগমের বিরুদ্ধে। মেয়েটিকে একটি অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে ঘরে দিনের পর দিন বন্দী করে রাখা হয়। নিয়মিত দেওয়া হতো চেতনানাশক ইনজেকশন। অবশেষে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে আক্কেলপুর পৌরসভার মণ্ডলপাড়া মহল্লায়। অভিযুক্ত এনামুল হক আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। পাশাপাশি তিনি উপজেলার জাফরপুর বাজারেও চেম্বার বসিয়ে রোগী দেখেন।
গত শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মেয়েটির নাম লিজা আক্তার। সে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=XzppAV08DGc[/embed]
স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন হোসেন বলেন, ‘লিজা দেখতে সুন্দরী ছিল। বড় মেয়ে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করায় ছোট মেয়েটির ক্ষেত্রেও একই ভয় থেকে এনামুল তার পড়াশোনা বন্ধ করে দেয় এবং ঘরবন্দী করে রাখে। চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে রাখা হতো। প্রতিবাদ করলেই চলত মারধর।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিজার ঘরে ছিল মাত্র একটি ছোট ফ্যান ও একটি বাতি। ঘরের সব জানালা-দরজা বাইরে থেকে পেরেক মারা ছিল। বাড়ির পরিবেশ ছিল অস্বাস্থ্যকর ও বাতাসহীন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মেয়েটির চিৎকার প্রায়ই শোনা যেত, কিন্তু কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হতো না।
প্রতিবেশী রাসিক জনি বলেন, ‘ঘরবন্দী করে বাবা ও সৎমা মিলে মেয়েটির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। অনেক সময় তার মাথাও ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছিল।’
তবে সৎমা ফুতি বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি নিজেও ঘরবন্দী। বাইরে যেতে দিতেন না স্বামী। মেয়ের দেখাশোনা করতাম আমি, তবে নির্যাতন করিনি।’
লিজার বাবা এনামুল হক বলেন, ‘বড় মেয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করায় মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে। ছোট মেয়ে যাতে পালিয়ে না যায়, তাই তাকে বাইরে যেতে দিইনি। ছেলেরা জানালা দিয়ে বিরক্ত করত, তাই সব জানালা বন্ধ করে দিয়েছি।’
ঘটনাস্থলে থাকা আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গণেশ চন্দ্র বলেন, ‘মেয়েটিকে খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছিল। তাকে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীদের প্রবেশে বাধা না দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]