[ad_1]
মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের অকালে ঝরে পড়া ফুলগুলোর সংখ্যা অন্তত ২৬-এ উঠল। ২১ জুলাইয়ের মর্মান্তিক বিপর্যয়ে শিক্ষক, অভিভাবক আর যুদ্ধবিমানের পাইলট মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা গতকাল রোববার পর্যন্ত ৩৪। স্কুল প্রাঙ্গণের বাতাসে এখনো যেন পোড়া বইয়ের গন্ধ। চলছে বার্ন ইনস্টিটিউটসহ হাসপাতালের করিডরে বেদনায় বিমূঢ় স্বজনের অপেক্ষাও।
স্কুল ভবনের দোরগোড়ায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান আছড়ে পড়ার এক সপ্তাহ পরও শোকের ছায়া দিয়াবাড়ি এলাকায়। দেশবাসীর মন ভারাক্রান্ত নিরীহ শিশুদের করুণ মৃত্যু আর অবর্ণনীয় কষ্টে। স্কুলের বন্ধ গেটের সামনে ভিড় কমে এলেও একেবারে বন্ধ হয়নি স্বজন আর কৌতূহলী মানুষের আনাগোনা।
হিসাবে দেখা গেছে, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীই বেশি হতাহত হয়েছে এ বিপর্যয়ে। হায়দার আলী ভবন নামে যে স্থাপনাটির সামনে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়, তার নিচতলায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান হয়। বিমানটি গোত্তা খেয়ে পড়ে ঠিক তৃতীয় শ্রেণির কক্ষের পাশেই। শেষ খবর পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণির ১২ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বয়স তুলনামূলকভাবে হওয়ায় ছুটির পর অভিভাবক ছাড়া তাদের শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হতে দেওয়া হয় না। তাই অপেক্ষারত শিশুদের সংখ্যা অন্য ক্লাসের তুলনায় বেশি ছিল। এরপরই সপ্তম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এই শ্রেণিকক্ষটি বিধ্বস্ত বিমানের সোজাসুজি দোতলায়।
গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত ২৬ শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৪ জন। শিক্ষার্থী ছাড়াও প্রাণ হারানোদের তালিকায় রয়েছেন দুজন শিক্ষক, তিনজন অভিভাবক, পাইলট ফ্লাইট লে. তৌকির ইসলাম, স্কুলের একজন আয়া। এখনো পরিচয় শনাক্ত হয়নি একটি মরদেহের। এ জন্য দেহটির নমুনা নিয়ে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের কাজ করছিল সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ।
মাইলস্টোন স্কুল প্রাঙ্গণের এ বিপর্যয় দেশের ইতিহাসে সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা। আর স্মরণকালের মধ্যে সংখ্যার বিচারে দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রাণঘাতী ঘটনা এটি। এর আগে ২০১১ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। সেদিন ফুটবল ম্যাচ দেখে ফেরার সময় ট্রাক উল্টে ঝরেছিল ৪৩টি শিশুর প্রাণ।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]