[ad_1]
অজু দৈনন্দিন জীবনে একাধিকবার ফিরে আসা এক পবিত্র চর্চা। যাঁরা অজুকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। অজু নামাজের পূর্বশর্ত। এটি শুধু শরীর ধোয়ার একটি প্রক্রিয়া নয়, বরং আত্মিক ও শারীরিক পবিত্রতার সম্মিলিত একটি প্রতীক। অজুর মাধ্যমে একজন মুসলিম নামাজের জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত হন এবং পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দাঁড়ানোর মানসিক প্রশান্তিও লাভ করেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতে চাও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাত ধুয়ে নাও, মাথায় মাসেহ করো এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও।’ (সুরা মায়িদা: ৬)। এ আয়াত থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, অজু নামাজের পূর্বশর্ত। অজু ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয় না, যতক্ষণ না শরিয়তে অন্য কোনো বিকল্প (যেমন তায়াম্মুম) অনুমোদিত হয়।
অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা যায়, জমাট বাঁধা রক্তের মতো কিছু বের হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে—এই রক্ত বের হলে অজু নষ্ট হয়ে যায় কি না?
সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে থাকলে মাঝে মাঝে নাক ঝাড়ার সময় রক্তের মতো জমাট কিছু বের হতে পারে। ফিকাহবিদগণের মতে, নাক ঝাড়ার সময় এরূপ জমাট রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হয় না। কারণ, এটি শরীর থেকে এমনভাবে রক্ত নিঃসরণ নয়, যা অজুর শর্ত ভঙ্গ করে।
অজু ভেঙে যায় যে ৭ কারণে: ১. পায়খানা ও প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলে। ২. নামাজে উচ্চ স্বরে হাসলে। ৩. মুখ ভরে বমি করলে। ৪. থুতুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হলে। ৫. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমালে। ৬. কিছু সময়ের জন্য বেহুঁশ বা উন্মাদ হলে। ৭. শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]