[ad_1]
ভারতের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ১২ হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে। কর্মীসংখ্যার এই বিপুল হ্রাস আন্তর্জাতিক করপোরেট মহলে রীতিমতো চমক তৈরি করেছে।
টিসিএসের সিইও কে কৃত্তিবাসন আজ রোববার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ২০২৬ অর্থবছরে কর্মীর সংখ্যা ২ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত চলতি অর্থবছর থেকে শুরু হয়ে চলবে মার্চ পর্যন্ত।
এই পদক্ষেপের ফলে সংস্থাটির মধ্যম ও ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা স্তরের প্রায় ১২ হাজার ২০০ কর্মীর চাকরি ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানা গেছে।
টিসিএস জানিয়েছে, এই কর্মী ছাঁটাইয়ের মূল কারণ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অন্যান্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি। একই সঙ্গে সংস্থাটি নতুন বাজারে প্রবেশ করছে এবং বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির চাহিদা অনিশ্চিত থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিসিএস আশ্বস্ত করেছে, এই পরিবর্তনের কারণে ক্লায়েন্টদের পরিষেবা প্রদানে কোনো প্রভাব পড়বে না।
এই পদক্ষেপের পেছনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষকর্তা কে কৃত্তিবাসন। তাঁর দাবি, এআই প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির ফলে কাজের ধরন বদলে গেছে এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কর্মীর প্রয়োজন ফুরিয়ে আসছে।
সিইও কৃত্তিবাসনের ভাষায়, ‘এই সিদ্ধান্ত মোটেই সহজ ছিল না। বরং এটা আমার সিইও জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রযুক্তির জগতে আমরা নতুন এক দিগন্তে প্রবেশ করছি। ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
বর্তমানে টিসিএসের মোট কর্মীসংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ২০০ কর্মীকে বিদায় জানানো হবে। প্রতিষ্ঠানটির তরফে জানানো হয়েছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা নোটিশ পিরিয়ডের সুবিধা ছাড়াও পাবেন বাড়তি ছুটি, বিমা ও প্রস্থান প্যাকেজ।
এ ঘটনায় শুধু টিসিএস নয়, গোটা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতেই এক অদ্ভুত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভারতের ২২৩ বিলিয়ন ডলারের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বর্তমানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এর মধ্যে এমন গণছাঁটাই নিঃসন্দেহে এক সতর্কসংকেত।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]