[ad_1]
গাজার নির্দিষ্ট কিছু অংশে দৈনিক ১০ ঘণ্টা সামরিক অভিযান বন্ধ রাখা ও নতুন ত্রাণ করিডর খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। একই সময়ে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় আকাশপথে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল এ ঘোষণা দিয়েছে।
সম্প্রতি গাজায় অনাহারী ফিলিস্তিনিদের হৃদয়বিদারক ছবি বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ঠিক এই সময়ে ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, আল-মাওয়াসি (উপকূল বরাবর একটি মানবিক অঞ্চল), মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ও উত্তরের গাজা সিটিতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সামরিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া, খাদ্য ও ওষুধের কাফেলার জন্য সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত (রোববার থেকে শুরু করে) নির্দিষ্ট নিরাপদ পথ খোলা থাকবে। জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার এক্সের এক পোস্টে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের কর্মীরা এই যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারিত এলাকায় ক্ষুধার্তদের খাবার সরবরাহ করার প্রচেষ্টা বাড়াবে।
এদিকে, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আকাশপথে আজ রোববারেই গাজা উপত্যকায় ২৫ টন ত্রাণ ফেলেছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটিই তাদের প্রথম ত্রাণ বিতরণ। জর্ডানের একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আকাশপথে এই ত্রাণ বিতরণ স্থলপথে সরবরাহের বিকল্প নয়। গাজা সিটির ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আকাশ থেকে পড়া ত্রাণ বাক্সের আঘাতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যার ফলে অপুষ্টি ও ক্ষুধায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৩৩-এ দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৮৭ জনই শিশু। গতকাল শনিবার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে পাঁচ মাস বয়সী জয়নাব আবু হালিব নামের এক শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে।
[ad_2]
ঠিকানা: ১১৮ হাবিব ভবন ৪র্থ তলা, বিবিরপুকুর পশ্চিম পাড়, বরিশাল-৮২০০
মোবাইল: 01713956574, 01712445776 ইমেইল: [email protected]