ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন মেসি, কী বলছে নিয়ম


বৃহস্পতিবার এমএলএস অল স্টার গেমে মেক্সিকোর লিগা এমএক্সের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতে এমএলএস অল স্টার। কিন্তু ম্যাচের আগে সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন লিওনেল মেসি ও তাঁর ক্লাব সতীর্থ জর্দি আলবা। এ কারণে মেজর লিগ সকারে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন দুই তারকা ফুটবলার।
এমএলএসের একজন মুখপাত্র জানান, ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়ে দেয়, মেক্সিকোর লিগা এমএক্সের বিপক্ষে থাকবেন না মেসি ও আলবা। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়ম অনুযায়ী, অল স্টার গেমে যেসব খেলোয়াড় চোটে আক্রান্ত নন এবং খেলতে অস্বীকৃতি জানাবেন, তাদের এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেতে হবে। নিষিদ্ধ হওয়ায় আগামীকাল ভোরে মায়ামির ঘরের মাঠের ম্যাচে খেলতে পারবেন না আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ এফসি সিনসিনাটি।
শাস্তি প্রসঙ্গে মায়ামি ক্লাবের অংশীদার হোর্হে মাস বলেছেন, ‘মেসি খুবই হতাশ।’ মায়ামির সঙ্গে ২০২৫ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর্জেন্টাইন তারকার। চুক্তি বাড়ানোর পদক্ষেপে এই শাস্তি প্রভাব ফেলবে না বলে আশা মাসের, ‘আশা করি এটা দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাব ফেলবে না।’
মেসি সম্প্রতি টানা ম্যাচের মধ্য দিয়ে গেছেন। ৩৫ দিনে ৩৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। এর মধ্যে ক্লাব বিশ্বকাপে ৪টি এবং ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ৫ টি। সবগুলোতে মাঠে ছিলেন পুরো ৯০ মিনিট। অবশ্য ঠাসা সূচি থাকার পরেও মেসিকে কোনো ধরনের চোটে ভুগতে দেখা যায়নি। গত বছরও অল স্টার গেমে খেলেননি মেসি।
অল স্টার বলতে বোঝায়—একটি বিশেষ প্রদর্শনীমূলক বা প্রীতি ম্যাচ, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট লিগের সেরা পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়। এই দলকে বলা হয় অল স্টার দল। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে বানানো হয় এমএলএস অল স্টার। এই দলটি সাধারণত মুখোমুখি হয় অন্য কোনো লিগের সেরা খেলোয়াড়দের দল বা কোনো নামকরা ক্লাবের বিপক্ষে। এবার খেলেছে মেক্সিকোর লিগা এমএক্সের সঙ্গে। এটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টের অংশ নয়, বরং একটি উৎসবধর্মী ও প্রদর্শনী ম্যাচ।