বায়ার্নের কাছে হারের পর নিজেদেরই দুষছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব


গ্রুপ পর্বে যা হয় একটু সুযোগ পাওয়া যায়। একটা ম্যাচ খারাপ করলে পরে সেটা পুষিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু নকআউট পর্বে একটু পা হড়কালেই সব শেষ। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে গত রাতে হেরে আগেভাগেই বিদায় নিয়েছে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লামেঙ্গো।
মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে গত রাতে শেষ ষোলোর ফ্লামেঙ্গো-বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচে হয়েছে ৬ গোল। অর্ধডজন গোলের এই ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে বায়ার্ন। ৪-২ গোলে জিতে শেষ আটের টিকিট কেটেছে বায়ার্ন। জয়ের কৃতিত্ব জার্মান ক্লাবকে দিচ্ছেন ফ্লামেঙ্গো কোচ ফিলিপ লুইস। তাঁর মতে লাতিন আমেরিকার চেয়ে ইউরোপের ফুটবল অনেক অভিজাত পর্যায়ের। ম্যাচ শেষে লুইস বলেন, ‘যে চাপ তারা আমাদের ওপর দিয়েছে, সত্যিই অনেক। তারা আমাদের সঙ্গে ৮, ১০ খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে এসেছে। তাদের এই জয় প্রাপ্য।’
বায়ার্ন-ফ্লামেঙ্গোর লড়াই হয়েছে সমানে সমানে। ৫১ শতাংশ বল দখলে রেখে ফ্লামেঙ্গো প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর নেয় ৩ শট। অন্যদিকে বায়ার্নের পাশে বল থাকে ৪৯ শতাংশ। জার্মান ক্লাবটি তিন শট করে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর। লুইসের মতে বায়ার্নের মতো দলের বিপক্ষে জিততে হলে আরও ভালো খেলতে হবে। ফ্লামেঙ্গো কোচ বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা কাজ করেছে। চাপ প্রয়োগ করতে পেরেছি ও গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি আমরা।’
বায়ার্নের চার গোলের মধ্যে একটি গোল দলটি পেয়েছে উপহার। ৬ মিনিটে বায়ার্নের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে উল্টো আত্মঘাতী গোল করেন ফ্লামেঙ্গো ডিফেন্ডার এরিক পুলগার। ৯ মিনিটে হ্যারি কেইনের গোলে ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৩৩ মিনিটে গার্সনের গোলে ব্যবধান কমায় ফ্লামেঙ্গো। ৪১ মিনিটে লিও গোরেৎসকা গোল করে বায়ার্নকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। পিছিয়ে থাকা ফ্লামেঙ্গো দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান কমিয়েছে। ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ফ্লামেঙ্গোর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জর্জিনিও। ১৮ মিনিট পর কেইন ম্যাচে তাঁর দ্বিতীয় গোল করেন। ৭৩ মিনিটে তাঁর এই গোলে বায়ার্ন এগিয়ে যায় ৪-২ গোলে।
লুইসের মতে যদি ম্যাচের ফল উল্টোটা হতো, তাও বায়ার্নের শ্রেষ্ঠত্ব কমে যেত না। ফ্লামেঙ্গো কোচ বলেন, ‘তারা (দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলার) অভিজাত হতে চায়। দেখিয়েছে যে তারা কী খেলতে পারে। যদি আজ (গত রাত) জেতার পর টুর্নামেন্টও জিততাম, তবু বাস্তবতা বদলাত না। তারা (বায়ার্ন) উচ্চ মানসম্পন্ন দল। আমাদের দলে অনেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার আছে। তবে তাদের দলের (ইউরোপ) ফুটবলাররা সেরা। ঘটনা হচ্ছে তাদের ফুটবলাররা অনেক ভালো।’
বায়ার্নের মতো চার গোল করে গত রাতে জিতেছে পিএসজি। মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। শেষ আটে এখন বায়ার্নের প্রতিপক্ষ পিএসজি। ৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে পিএসজি-বায়ার্ন কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ।