হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, ভাড়া কমানোর নির্দেশ


হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আরবি কোল্ড স্টোরেজের সামনে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাই অংশ এক ঘণ্টার মতো অবরুদ্ধ থাকে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী কৃষক ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে আরবি হিমাগারসহ উপজেলার এম ইশরাত হিমাগার, পুনট হিমাগার, পল্লি হিমাগার ও সালামীন ফুডস হিমাগারগুলো প্রতি বস্তা আলু সংরক্ষণের ভাড়া ৪২০-৪৩০ টাকা আদায় করছে। অথচ গত বছর ভাড়া ছিল ৩৫০-৩৬০ টাকা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পেছনে কোনো যৌক্তিকতা নেই বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
সুড়াইল গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বস্তাপ্রতি ৩৫০ টাকা ভাড়া বলেই হিমাগারে আলু রেখেছিলাম। এখন ৮০ টাকা বেশি নিচ্ছে, যেটা অন্যায়। এভাবে চলতে থাকলে কৃষি করে টিকে থাকা কঠিন হবে।’ আঁওড়া গ্রামের আরেক কৃষক আবুল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশটা কি মগের মুল্লুক হলো? প্রশাসন কি তাহলে কিছুই করতে পারবে না?’

কর্মসূচিতে কালাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার সোহেল ও জেলা বিএনপির সদস্য আনিছুর রহমান তালুকদার একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা কৃষকদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত। কোনোভাবেই ৩৫০-৩৬০ টাকার বেশি ভাড়া নেওয়া যাবে না।’
জানতে চাইলে আরবি হিমাগারের মহাব্যবস্থাপক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বিক্ষোভের সময় ইউএনও ঘটনাস্থলে আসেন এবং গত বছরের মতো ৩৫০-৩৬০ টাকায় ভাড়া নির্ধারণের নির্দেশ দেন। আমরা তা মেনে নিয়েছি।’ কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কৃষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।’
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, ‘হিমাগারগুলো যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে, সে বিষয়ে আমরা আগে থেকেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সে নির্দেশনা উপেক্ষা করায় আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানার পর হিমাগার কর্তৃপক্ষকে আবারও নির্দেশ দেওয়া হলে তারা অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারে সম্মত হয়।’