শিরোনাম

চাঁদপুরে মাদ্রাসাছাত্র মিলন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরে মাদ্রাসাছাত্র মিলন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মিলন হোসেনকে (১২) শ্বাসরোধে ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত রায় দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দোষী সাব্যস্ত শামিম হোসেন (২৮) ও সোহাগ হোসেনকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড, এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর আসামি মো. রাব্বি হোসেনকে (২৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নিহত মিলন হোসেন কচুয়ার কান্দিরপাড় গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শামিম হোসেন একই গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে এবং সোহাগ হোসেন পাশের পাড়াগাঁও গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত রাব্বি হোসেন কান্দিরপাড় গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত মিলনের বাবা তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের স্বজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুরে মিলন রহিমানগর বাজারে যাওয়ার পর আর ফিরে আসে না। পরদিন কচুয়া থানায় মিলনের বড় ভাই মো. রিপন হোসেন একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

২ জুলাই স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, শামিম, সোহাগ ও রাব্বি মিলে মিলনকে হত্যা করেন। তাঁরা মিলনকে ইব্রাহিম খলিলের ধঞ্চের জমিতে নিয়ে শ্বাসরোধে ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন।

ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে শামিমকে আটক করেন এবং তাঁর দেওয়া তথ্যে সোহাগ ও রাব্বিকেও আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। একই দিন নিহত মিলনের বড় ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার এসআই মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকারিপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মামলাটি দীর্ঘ ১০ বছর চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং মামলার যাবতীয় নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আদালত এই রায় দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল হক কমল।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button