সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স, গ্রেফতার ২০০


এবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে নেমেছেন ফরাসিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই শতিাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এপির এক প্রতিবেদন মতে, ম্যাক্রোঁ ঘনিষ্ঠ রাজনীতিককে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পরই বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বামপন্থি দলগুলোর নেতৃত্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ব্লক এভরিথিং’ কর্মসূচির আওতায় দেশজুড়ে মহাসড়কগুলো আটকে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। টায়ার ও ময়লা-আবর্জ্যনায় আগুন দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে তারা।
এদিকে বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে অন্তত ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিক্ষোভকারীরা পুরো ফ্রান্সজুড়ে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা শ্রমিক ধর্মঘট, সর্বাত্মক অবরোধসহ প্রতিটি কার্যকলাপ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে অনেক জায়গায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টায় অন্তত ২৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফ্রান্সে গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যান প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু।
সংসদে ৪৪ বিলিয়ন ইউরোর সাশ্রয় পরিকল্পনা পাশ করানোর চেষ্টা করেছিলেন বাইরু। এতে সরকারি ব্যয় স্থগিত করা ও দুটি সরকারি ছুটি বাতিলের মতো প্রস্তাব ছিল, যা জনগণের মধ্যে তীব্র অস্বস্তি তৈরি করে। ভোটের আগে এমপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারকে নামানো সম্ভব, কিন্তু বাস্তবতাকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। ঋণের বোঝা আরও বাড়বে এবং ব্যয়ও থামবে না।’
বাইরুর পর ম্যাক্রোঁ তার ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেন। এরপরই ‘ব্লক এভরিথিং’ কর্মসূচির আওতায় বুধবার বিক্ষোভ ঘোষণা করা হয়। লিওঁর একজন বিক্ষোভকারী ফ্লোরেন্ট এএফপি বলেন, ম্যাক্রোঁর নিজের ঘনিষ্ঠ মিত্রকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত ‘জনগণের গালে চপেটাঘাত‘। আমরা ক্লান্ত; আমাদের পরিবর্তন প্রয়োজন।’
রার/সা.এ
ক্রাইম জোন ২৪