খামেনি লুকিয়ে আছেন তেহরানের বাঙ্কারে, দাবি ইরান ইন্টারন্যাশনালের


ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনিকে রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজান এলাকায় অবস্থিত একটি গোপন বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুটি নির্ভরযোগ্য ইরানি সূত্রের বরাতে এমনটাই দাবি করেছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, খামেনির পরিবারের সব সদস্যও তার সঙ্গে রয়েছেন বাঙ্কারটিতে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগেও গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর তিনি একই বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েল প্রথম রাতেই খামেনিকে হত্যা করতে পারত, কিন্তু তারা তা না করে তাকে চূড়ান্ত একবারের জন্য সুযোগ দিয়েছে যেন তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েল মনে করছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তাদের জন্য অস্তিত্বগত হুমকি। খামেনি এই কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী ও পৃষ্ঠপোষক। এর আগেও ইসরায়েল ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের টার্গেট করেছে। লাভিজান এলাকা দীর্ঘদিন ধরে সামরিক স্থাপনা ও গোপন গবেষণাগারের কারণে আলোচিত।
এই খবরে আবারও স্পষ্ট হলো—চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাত শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা ছড়িয়ে পড়ছে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপে। খামেনিকে উদ্দেশ্য করে ইসরায়েলের এমন কৌশল পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।