শিরোনাম
১৫০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজকঙ্কালচুরির আতঙ্কে রাত জেগে কবর পাহারা১০০ মিনিটে লিভারপুলকে জেতানো কে এই বিস্ময় বালকতলুইগাছা সীমান্তে বিজিবির কাছে ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে হস্তান্তরএবারও ব্রাজিল দলে ফেরা হলো না নেইমারেরকলকাতায় বাংলাদেশকে হারানো প্রেরণা দিচ্ছে নেদারল্যান্ডসকেগাজার ৪০ শিক্ষার্থীকে পড়ার সুযোগ দিতে চায় যুক্তরাজ্য, লাগবে ইসরায়েলের অনুমোদনইউজিসিতে ১১ পদে চাকরির সুযোগমহাসড়কে উল্টে গেল তুলাবোঝাই ট্রাক, ১১ ঘণ্টা যানজট-ভোগান্তিবরিশালে বৃক্ষরোপণ অভিযান, ভিডিপি অ্যাডভান্স কোর্স সমাপনী ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ মহড়া সফলভাবে সম্পন্ন

কলকাতায় বাংলাদেশকে হারানো প্রেরণা দিচ্ছে নেদারল্যান্ডসকে

কলকাতায় বাংলাদেশকে হারানো প্রেরণা দিচ্ছে নেদারল্যান্ডসকে

প্রশ্ন: বাংলাদেশে আবার আসছেন, সেটা আবার প্রতিপক্ষের প্রধান কোচ হয়ে। কেমন লাগছে?

রায়ান কুক: বাংলাদেশে আবার আসাটা দারুণ ব্যাপার। পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশে ছিলাম। খেলোয়াড় ও স্টাফের অনেকের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক আছে। হ্যাঁ, এবার তো প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে যাচ্ছি। বাংলাদেশে অনেক কিছু শিখেছি।

প্রশ্ন: নেদারল্যান্ডস এই প্রথম বাংলাদেশে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আসছে। সিরিজ নিয়ে কতটা আশাবাদী? ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতার সেই ম্যাচের মতো সিলেটেও ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্য নিশ্চয়ই?

কুক: আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি। আপনি জানেন, গত বিশ্বকাপে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের রসদ পেয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটা দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলতে এসে আমরা নিজেদের দক্ষতার পরীক্ষা করতে চাই।

প্রশ্ন: ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে ওই হারটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক বড় ক্ষত। ওই জয়টা সিলেটেও কি আপনাদের বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে?

কুক: হ্যাঁ, অবশ্যই। বলতে চাইছি, কলকাতায় ওই জয়টা আমাদের কাছে অনেক বড় জয়। আমরা সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারিয়েছিলাম (ধর্মশালায়)। আমরা দুর্দান্ত ছন্দে এগোচ্ছি এবং আত্মবিশ্বাসী। এবার সিরিজ জিততে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হবে। যদিও ভিন্ন সংস্করণে খেলা। দুই দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা চেষ্টা করব ওই ম্যাচ থেকে নেওয়ার এবং এই সিরিজে কাজে লাগানোর।

প্রশ্ন: মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ৩ ওয়ানডের বিপরীতে ডাচরা দুটিতেই জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে আবার ৫ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে নেদারল্যান্ডস। ২০ ওভারের ক্রিকেটে কি বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়ে ডাচরা?

কুক: আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ২০২২ ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। দুটি ম্যাচই কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। আরেকটু ভালো খেলতে পারলে দুটি ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের সেরা ১০ দলের একটি হওয়া। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ হয়ে আছি। আশা করি, আমরা আরও দুটি ম্যাচ জিততে পারব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে কাল বাংলাদেশে আসছে নেদারল্যান্ডস। ছবি: আইসিসি
টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে কাল বাংলাদেশে আসছে নেদারল্যান্ডস। ছবি: আইসিসি

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ যোগ হয়েছেন। সংক্ষিপ্ত মেয়াদে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ একটি দলকে কতটা বদলে দিতে পারে?

কুক: এখনকার সময়ে পাওয়ার হিটিং কোচ দলের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। বড় স্কোর গড়তে, নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকাতে অনেক দল এখন এভাবেই এগোচ্ছে। যখন বাংলাদেশে ছিলাম, তখন বিষয়টা আমরাও সামনে এনেছিলাম। এখন সব দলই এমন খেলোয়াড় দলে নিতে চায়, যে নিয়মিত বাউন্ডারি মারতে পারবে। এ কারণে হিটিং কোচ আনছে দলে। আমিও কৌতূহল নিয়ে দেখতে আগ্রহী যে এটা কতটা কাজে দেয়। হিটিং একটা ইউনিক স্কিল। খুব কঠিন কাজ। আমি নিশ্চিত, ভালো ফল পেতে তারা কঠোর পরিশ্রম করছে।

প্রশ্ন: সিলেটের নেদারল্যান্ডস সিরিজটা ট্রু উইকেটে হতে পারে। একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই কি তাহলে হতে যাচ্ছে?

কুক: সিলেটে খেলতে যাচ্ছি, এটা দারুণ ব্যাপার। ওখানে আমিও আগে কয়েকবার গিয়েছি। জানি, উইকেট খুব ভালো। যেটা বললেন, ট্রু উইকেটে হতে যাচ্ছে, আমরা উন্মুখ হয়ে আছি ভালো কিছু করতে। ব্যাটে-বলে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে। বাংলাদেশ যেহেতু এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছে, তাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। আমাদের জন্যও ভালো প্রস্তুতি হবে, যেহেতু আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। আমাদের দল খুব একটা অভিজ্ঞ নয়, কিছু খেলোয়াড়ের জন্য অনেক শিক্ষণীয়ও হবে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন। আপনার চোখে গত ৪ বছরে এই দলের অগ্রগতি কতটা হয়েছে?

কুক: প্রতিটি দলই নিজেদের মূল্যায়ন করে এগোয়। কখনো দলের ফল খুব ভালো হয়, কখনো খারাপ হয়। বাংলাদেশ কতটা ভালো করছে নাকি করছে না, সেটা নিয়ে মন্তব্য করব না। বাংলাদেশ দল একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই তাদের দলে ম্যাচ জেতানো কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা মুখিয়ে আছি তাদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ খেলতে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে অনেক দিন ছিলেন। সবচেয়ে ভালো লাগার স্মৃতি কোনটি?

কুক: একাধিক স্মৃতি আছে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়, (২০১৯) বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় খুব ভালো স্মৃতি। অসাধারণ খেলেছিল খেলোয়াড়েরা। দলে যখন যারাই ছিল, সবার মধ্যে দারুণ সম্পর্কের ফলে এই সাফল্য। আমি বাংলাদেশের সময়টা অনেক উপভোগ করেছি। দলের ফলও দারুণ ছিল। অনেকের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, যেটা আরও দৃঢ় হয়েছে গত দুই বছরে। এটা আমার জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button