জয়পুরহাটে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা


জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গভীর নলকূপের নৈশপ্রহরী আবু সাঈদকে (৬৭) হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের কলিঙ্গা গ্রামের কালাইগাড়ি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার সকালে ঘটনা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় আজ বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট মেয়ে মুর্শিদা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় নূর মোহাম্মদের মালিকানাধীন গভীর নলকূপে প্রায় দুই দশক ধরে পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করছিলেন আবু সাঈদ। প্রতিদিনের মতো সেদিন রাতেও তিনি ডিউটিতে ছিলেন। ভোরে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সন্দেহ হয়। পরে জামাতা নলকূপঘরে গিয়ে দেখতে পান—দরজা খোলা, আর ভেতরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাঁর মরদেহ।
পুলিশ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জানতে চাইলে বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাঈদ মুরব্বি ২০ বছর ধরে শুধু রাতের বেলা ডিপে (নলকূপ) পাহারা দিতেন। সকালে চলে যেতেন। আজ ভোরে বাড়ি না ফিরলে জামাতা খুঁজতে এসে লাশ দেখতে পান।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, নিহত ব্যক্তির গলায় ছুরির আঘাত ও নাকেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে কোনো চুরির আলামত মেলেনি। প্রাথমিকভাবে পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আজ বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট মেয়ে মুর্শিদা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা করেছেন।
ক্রাইম জোন ২৪