শিরোনাম
ঝাল মিষ্টি গরুর মাংসএবার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারহ্রাসকৃত মূল্যে হার্টের রিং বিক্রি হবে ১ অক্টোবর থেকেবেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্রফিলিস্তিনের রাষ্ট্র স্বীকৃতির পথে নতুন গতি, জাতিসংঘের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের সমর্থনসিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদলতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়গোপনে ১৯০ মিলিয়ন ডলারের নজরদারি সরঞ্জাম কিনেছিল আওয়ামী লীগ সরকারফেনীতে প্রশিক্ষণ পেলেও কর্মসংস্থানের সংকট, যুবসমাজের হতাশাবিগ ব্যাং নয়, ব্ল্যাক হোল থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টিনৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, মারা গেলেন দগ্ধ আরও একজন

আয়াতুল কুরসি পাঠের বরকত ও ফজিলত

আয়াতুল কুরসি পাঠের বরকত ও ফজিলত

পবিত্র কোরআনের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ আয়াত হলো ‘আয়াতুল কুরসি।’ মহানবী (সা.) এই আয়াতটিকে কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একবার তিনি সাহাবি উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার মতে কোরআনের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মহান?’ জবাবে উবাই (রা.) বলেন, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া…’ অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি। তখন নবী (সা.) তাঁর বুকে হাত রেখে বললেন, ‘আবুল মুনজির, এই জ্ঞানের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’ (সহিহ মুসলিম)

এই আয়াতটির মাহাত্ম্য এর গভীর তাৎপর্য এবং অসংখ্য ফজিলতের মধ্যেই নিহিত। আয়াতুল কুরসি পাঠের মাধ্যমে মুমিন বান্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সুরক্ষা লাভ করে এবং পরকালে জান্নাতের সুসংবাদ পায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, শয়তান সারা রাত তার কাছে আসবে না।’ (সহিহ বুখারি)।

অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, সে সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে নিরাপদে থাকবে। আর যে সকালে পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদে থাকবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান)। রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (সুনানে নাসায়ি)

আয়াতুল কুরসির অর্থ: ‘আল্লাহ—তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক। তাঁকে না তন্দ্রা স্পর্শ করে, না নিদ্রা। আসমান-জমিনে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে কে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে-পেছনে কী আছে, তিনি জানেন। তিনি যা চান, তা ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর সিংহাসন আসমান-জমিন বেষ্টন করে আছে এবং তা হেফাজত করতে তাঁর কষ্ট হয় না। এবং তিনিই সর্বোচ্চ ও মহান।’

এই আয়াতে বর্ণিত আল্লাহর এই অসামান্য গুণাবলির কারণেই এটি কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিনের আমলের মাধ্যমে এই আয়াতটি পাঠের অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের জীবনে প্রশান্তি ও নিরাপত্তার এক অনন্য মাধ্যম।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button