শিরোনাম

ট্রাম্পের চাপে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে অ্যাপল

ট্রাম্পের চাপে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে অ্যাপল

যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কার্যক্রম বাড়াতে আরও ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্টটি। এর আগে চার বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল অ্যাপল। নতুন এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রে ‘সাপ্লাই চেইন এবং অ্যাডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং’ সম্প্রসারণে ‘আমেরিকান ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোগ্রাম’ চালু করছে কোম্পানিটি।

এই বিনিয়োগের অংশ হিসেবে কেন্টাকিতে আইফোন ও অ্যাপল ওয়াচের স্ক্রিনের গ্লাস উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি কোম্পানি কর্নিংয়ের সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও সম্প্রসারণ করেছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এবার থেকে আইফোন ও অ্যাপল ওয়াচের ‘কভার গ্লাস’ শতভাগ যুক্তরাষ্ট্রেই তৈরি হবে।

এ ছাড়া, টেক্সাসের অস্টিনে স্যামসাংয়ের চিপ ফ্যাক্টরিতে অ্যাপল একটি নতুন প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে, যা এখনো বিশ্বে কোথাও ব্যবহৃত হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে অ্যাপলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। এই প্রযুক্তি চিপ নির্মাণে ব্যবহৃত হবে।

এ বছর শুরুর দিকে ঘোষিত অ্যাপলের হিউস্টনভিত্তিক সার্ভার কারখানাটি ২০২৬ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। একই সঙ্গে নর্থ ক্যারোলিনার মেইডেন শহরে অবস্থিত তাদের তথ্যকেন্দ্রও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

গত মাসে অ্যাপল মিশিগানে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাকাডেমি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে উন্নত উৎপাদন কৌশল শেখানো হবে।

তবে অ্যাপলের এসব উদ্যোগ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে পারবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্প মনে করেন, অ্যাপল পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রেই আইফোন উৎপাদন করতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুল্ক ও সাপ্লাই চেইনের বিঘ্ন এড়ানোর উদ্দেশ্যে অ্যাপল উৎপাদন কার্যক্রমকে ধীরে ধীরে চীনের বাইরে সরিয়ে নিচ্ছে। এ জন্য ভারত ও ভিয়েতনামে উৎপাদন কার্যক্রম বাড়াচ্ছে কোম্পানিটি।

তবে ট্রাম্প এতে সন্তুষ্ট নন এবং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি অ্যাপল আরও বেশি উৎপাদন দেশে না আনে, তবে কোম্পানিটিকে ২৫ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।

তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button